এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।সোমবার (৯ আগস্ট) মাউশির ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্টটি প্রকাশ করা হয়
যেসব বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে :
১৫টি বিষয়ের গুচ্ছ-২ এর জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ভূগোল, ফিন্যান্স, ব্যাংক ও বিমা, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন, আরবি, গৃহব্যবস্থাপনা এবং পারিবারিক জীবন এবং গুচ্ছ-৩ এর রসায়ন, অর্থনীতি, পৌরনীতি ও সুশাসন, যুক্তিবিদ্যা, হিসাববিজ্ঞান, খাদ্য ও পুষ্টি।
এছাড়াও,সরকার থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আসছে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে এসএসসি পরীক্ষা। আর এইচএসসি শুরুর পরিকল্পনা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। পরীক্ষা নেয়া হবে শুধু নৈর্বাচনিক তিন বিষয়ে।
এরপরও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত রাখতে দেয়া হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট।
গত ১৫ জুলাই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সময়ের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ১৮ জুলাই থেকে দেয়া শুরু হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জুলাই এক অদেশে মাউশি জানায়, ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এনসিটিবি প্রণীত অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম গত ১৪ জুন থেকে চলমান। ইতোমধ্যে গ্রেডভিত্তিক চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ জনিত সংক্রমণ রোধে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে এ অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল নির্ণয় করা হবে। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সপ্তাহভিত্তিক শিক্ষার্থী মূল্যায়ন বিবেচনায় নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নতুন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবে।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা যাতে নোট-গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট না করে।নোট-গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট
করতে নিষেধ করেছে অধিদপ্তর। নোট–গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট করা হলে তা বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আবারও সেই অ্যাসাইনমেন্ট করে জমা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে দেওয়া নির্দেশনায় অধিদপ্তর আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের বলছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। মূল্যায়নের শেষে শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে শিক্ষকেরা যে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করছেন, তা পরিবীক্ষণ করতে হবে, প্রয়োজনে শিক্ষকদের কাছ থেকে মূল্যায়নের ব্যাখ্যা নিতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান মূল্যায়নের রেকর্ড নির্ধারিত ছক অনুসারে সংরক্ষণ করেছেন কি না, তা–ও পরিবীক্ষণ করতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক পরিচালকদের।