Type Here to Get Search Results !

আত্নহননের চেয়ে বাবা মায়ের কথা ভাবুন,ডিপ্রেশন কেটে যাবে

0
আশিকের লাশটা গত দুই ঘন্টা ধরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। কেউ আসছে না ওর ঘরে, দরজা ভিতর থেকে লক করা। আশিকের মা বেশ কয়েকবার এসে নব ঘুরিয়েছেন, কিন্তু খুলতে পারছেন না।

আশিকের খোলা চোখ দুটি যেন কোটর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আছে! ও সব কিছু দেখছে, শুনছে, বুঝতে পারছে, কিন্তু নড়াচড়া করতে পারছে না! পারছে না কোন কথাও বলতে!

মা হয়তো ভেবেছেন একা থাকার জন্য আশিক দরজা লক করে রেখেছে, রেগেমেগে মন খারাপ করে আছে। তিনি কিছুক্ষণ পরপর এসে ডাকছেন আর দেখছেন আশিক দরজা খুলেছে কিনা। আশিক যদিও ভেবেছিল মা আর তার রুমে আসবে না, যে কড়া ধমক দিয়ে মাকে সে বলেছে ওর ঘরে আর না আসতে। তারপরও মা উৎকণ্ঠা নিয়ে পায়চারি করছেন ঘরের বাইরে। আশিকের বাবাও কয়েকবার ডাইনিং এ এসে খুব চিন্তিত মুখে বসে থেকে নিজের ঘরে ফিরে গেছেন।

খুব অদ্ভুত ব্যাপার, মৃত্যুর পর থেকে কে কি ভাবছে আশিক সব বুঝতে পারছে! আশিক ভেবেছিলো - ফাইনাল প্রফে ফেল করায় বাবা কি চরম কষ্টটাই না পেয়েছেন। হয়তো ভেবেছেন কারো সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না, কত বড় মুখ করে সবাইকে বলেছেন, "পাশ করে আমার ছেলেটা ডাক্তার হবে, বাপের নাম উজ্জ্বল করবে।" কিন্তু বাবা এখন ভাবছেন কিভাবে ছেলের মনটা একটু ভালো করা যায়। পাশ করলে বলেছিলেন যে বাইক কিনে দেবেন। টাকাটা তাই দু'দিন আগেই ব্যাংক থেকে তুলে রেখেছিলেন। বাবা এখন ভাবছেন - কখন আশিক দরজা খুলবে, টাকার খামটা ছেলের হাতে তুলে দিয়ে বলবেন, "যা বাবা, তোর পছন্দের বাইকটা কিনে আন। আর শোন, সেটাতে আমাকে মাঝেমাঝে লিফট দিবি। ফেল করেছিস তাতে কি! নেক্সট টাইম আরো ভাল করে চেষ্টা করবি। আজ না হয় কাল, পাশ তো একদিন করবি'ই। মেডিকেলে পাশ ফেল কোন ব্যাপার না, কত ডাক্তার বারবার ফেল করে আজ বড় প্রফেসর। তুইও একদিন পারবি বাবা। ভেঙে পরিসনে। ভয় পাসনে। সাহস রাখ। আমাদের দোয়া আছে। আমরা তোর পাশে আছি।"

আশিকের বন্ধুরা ওর ব্যাপারে কি ভাবছে আশিক তাও বুঝতে পারছে। আশিকের বন্ধু মারুফ আর মনির এর মধ্যেই প্ল্যান করেছে, কাল দলবল মিলে আশিকদের বাসায় গিয়ে ওকে চমকে দেবে। সবাই মিলে কক্সবাজার যাবে বেড়াতে। আশিকের স্পন্সর ওরাই করবে। সব সময় সময় ওকে সংগ দিবে, সাহস দিবে। পরীক্ষার রেজাল্টে নিয়ে কোন কথাই বলবে না। দুটো দিন ওকে নিয়ে পাহাড় সমুদ্রে ঘুরেফিরে বেড়াবে। অথচ আজ বিকালেও আশিক ভেবেছিলো ওকে নিয়ে ওর বন্ধুরা কত উপহাসই না করছে!

মৃত্যুর আগেও আশিক ভেবেছিলো, ডাক্তার খালামনি এখনো ওর ফেলের খবরটা শোনেনি। শুনলে কি ভাববেন, কত কিছুই না বলবেন, "ছি ছি ছি, ব্যাটা গাইনিতে কেউ ফেইল করে?"

কিন্তু আশিক জানেনা, খালামনি ইতোমধ্যে ওর খবর শুনেছেন। তিনি ঠিক করে রেখেছেন আশিককে বলবেন, 'আরে বোকা, ফেল করেছিস তাতে কি! সামনে ভাল করবি। স্রষ্টা সামনে অনেক ভাল কিছু রেখেছেন। নিজের উপর আস্থা রাখ। চল শপিং এ যাই, তোকে কিছু কিনে দিই।"

চারপাশের কে কি মনে করছে করবে এসব নিয়ে ও খুব স্ট্রেসে ছিল (Depressive episodes are often triggered by stressful life events), ওর কাছে তখন মনে হচ্ছিলো, 
> I am no good.
> The world is an awful place.
> The future is hopeless.
সমাধান হিসেবে তাই বোকার মত বেছে নিয়েছিলো আত্মহনকে!

ওদিকে আশিকের মা সেই কখন থেকে ডাইনিং এ দাঁড়িয়ে আছেন আর ভাবছেন, "ওর প্রিয় ইলিশ মাছের তরকারিটা ঠান্ডা হয়ে গেল, ছেলেটা বের হলে নিজ হাতে খাইয়ে দিবেন।"
তিনি তাই বারবার দরজার সামনে আসছেন, দরজা খোলার জন্য আকুতির সুরে ডেকে যাচ্ছেন, "আশিক, বাবা আমার, দরজাটা খোল।"

রাত এখন অনেক প্রায়। এরমধ্যে মা কয়েকবার বাবাকে গিয়ে একটু বকাও দিয়েছেন, "তোমাকে না বলেছি, রেজাল্ট নিয়ে ছেলেকে এত কথা শুনিয়ো না। কত মানুষ কত ভুল করে, ও তো শুধু ফেলই করেছে। ও নিজেও তো এতে কষ্ট পাচ্ছে। ওকে কথা না শুনিয়ে তোমার উচিৎ ছিল ছেলের পাশে থাকা, ওকে শান্ত্বনা দেওয়া।" (Cognitive behaviour therapy/CBT - most effective psychological treatment)

আশিকের ধারণা ছিল ওর রাগী বাবাটা এসব কথা শুনে মায়ের সাথে পাল্টা তর্ক করবেন। কিন্তু কি অদ্ভুত, বাবা চুপচাপ সব মেনে নিয়ে বললেন, "তুমি ঠিকই বলেছো, আমি ভুল করেছি, বুঝিনি রেজাল্টের চেয়ে ছেলে বড়।"

এসব শুনে মৃত আশিক মনে মনে ভাবছে, "বেঁচে থাকলে এখন আমি কাঁদতাম, চিৎকার করে কাঁদতাম। অযথাই সারা দিন কেঁদেকেটে চোখ ফুলিয়েছি, শেষমেশ বোকার মত আত্মহননের কান্ডটা করেছি! কিন্তু জীবনটা কত সুন্দর। পাশ করার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর মায়ের হাতের রান্না খাওয়া, বাবার সাথে গল্প করা, বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাওয়া।"

অধৈর্য্য হয়ে মা এখন দরজায় জোরে জোরে আঘাত করছেন, দরজা ভেঙেই ফেলবেন বোধহয়।

আশিকের চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা হচ্ছে, "এই দরজা কখনো খুলো না মা। কখনো খুলো না এই দরজা...."

কিন্তু দরজা খুলতে না পেরে, আর ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আশিকের বাবা মা খারাপ কিছু সন্দেহ করেন! দরজা ভেঙে ফেলতে তারা রড দিয়ে দরজার উপর ধুরুম ধারুম আঘাত করা শুরু করেন!

দরজায় জোরছে আঘাতের শব্দ শুনে আশিক ধড়মড়িয়ে জেগে ওঠে। উঠে দেখে সারা শরীর ওর ঘামে ভেজা। কি ভয়ংকর দুঃস্বপ্নটাই দেখেছিলো এতক্ষন!

ঘুম ভাঙতেই বাইরে থেকে মায়ের চিল্লানি শুনতে পায়, 'আশিক, বাবা ওঠ তাড়াতাড়ি, সেই কখন থেকে ডাকছি, পরোটা আর হাঁসের মাংস ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে!' আশিক আড়মোড়া ভেঙে উঠে দরজা খুলে দেয়। খুলেই ছোট্ট শিশুর মত মায়ের গলা জড়িয়ে বলে, 'মা, তোমাকে খুব ভালবাসি!' এই বলে ফ্যালফ্যাল করে কান্না শুরু করে! মা অবাক হয়ে যায়, 'কি বোকা ছেলে, কাঁদছিস ক্যান, কি হইছে, তোর বাবা তোর জন্য বাইক কিনতে গেছে, তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে খেতে বস!'

গল্পটা শেষ। এভাবেই শেষ হোক প্রতিটি Depression এর গল্প। কিন্তু সব গল্প এভাবে শেষ হয় না!

Depression এ রোগীরা প্রায়শই বলে আমার কিছু ভাল লাগে না, মন ভাল নেই, mood ভাল নেই। অর্থাৎ এটা একটা mood disorder. এই ভাল না লাগা সব সময় থাকে। কিন্তু কোন কোন mood disorder এ এই ভাল লাগে না, তো পরক্ষণেই মন বেশ উল্লসিত। অর্থাৎ mood এর মধ্যে ভাল না লাগা, আর ভাল লাগা'র দুটো pole আছে, যেটাকে বলে bipolar mood disorder. কিন্তু Depression এ শুধুই ভাল না লাগা, তাই এটা unipolar mood disorder!

🍂 কারণ কি এই ভাল না লাগার?

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন না কোন কারণ আছে, সেটি হতে পারে যৌক্তিক বা অযৌক্তিক কারণ। কিন্তু যে Depression এর রোগী, তার কাছে প্রতিটি কারণই যৌক্তিক। তাই তার চারপাশের মানুষগুলো কখনো তাকে এটা বলবেন না, 'তোমার এই মন খারাপের কারণটি অযৌক্তিক!'

এই কারণগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে, নিজের শারীরিক অসুস্থতা অক্ষমতা থেকে শুরু করে অন্য যে কোন সমস্যাই তার কাছে সমস্যা বলে মনে হয়, যা তাকে দুঃশ্চিন্তায় ভোগায় (anxiety), আর এর ফলেই এক সময় সে Depression এ চলে যেতে পারে। তাই মাথায় রাখা ভাল, ডিপ্রেশনের শুরুটা হতে পারে anxiety থেকে, আবার anxiety ছাড়াও হতে পারে।

🍂 symptoms কি Depression এর?

ওই যে বলেছি কিছুতেই কিছু ভাল লাগে না।
মন ভাল লাগে না, শরীর ভাল লাগে না!
মন কিরকম ভাল লাগে না?
- আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
- আমি আর পারছি না।
- আমি ব্যর্থ।
- জীবনে কোন আশা নাই, আনন্দ নাই।
- কি লাভ বেঁচে থেকে!

অর্থাৎ মনের মধ্যে এক কথায় চরম নৈরাশ্যবাদী (pessimism) অবস্থা বিরাজ করবে। ফলে নিজেকে সমাজ সংসার থেকে গুটিয়ে নেবে, কম মিশবে মানুষের সাথে, যখন চেয়ারে বসবে তখন পিছনের দিকে চুপসে হেলান দিয়ে অলস ভঙ্গিতে বসবে।

যদি তার সমস্যা কি জিজ্ঞেস করা হয়, সে তার সমস্যাগুলো অনগর্ল বলে যাবে, এবং সাথে এটাও বলতে পারে, 'আমার সমস্যার কোন সমাধান নেই।' তার সমস্যার জন্য সে অন্যকে দায়ী করতে পারে, আবার দায়ী করতে পারে নিজেকেও, বলতে পারে 'আমার অবস্থার জন্য আমি নিজেই দায়ী।'

তার যে শুধু মনই ভাল লাগে না, তা কিন্তু না। তার খেতে ভাল লাগবে না (reduced appetite, আর এর ফলে weight loss হবে), ঘুমাতে ভাল লাগবে না (disturbed sleep, এতে শরীর fatigue হবে), loss of libido হবে, ঘরের কোণে জড়সড় হয়ে পরে থাকবে (motor retardation). অর্থাৎ তার psychological সমস্যাগুলো তার দৈনন্দিন জীবনের উপর এমনভাবে প্রভাব ফেলবে যে ফলশ্রুতিতে তার নানাবিধ somatic symptoms ডেভেলপ করবে!

🍂 রোগ ধরা যাবে কিভাবে?

ওই যে উপরের symptoms শুনে আর হিস্ট্রি নিয়ে। এক্সামিনেশনে কিছু কি পাওয়া যাবে?
যেতে পারে। কারণ Depression এর অন্যতম একটি কারণ physical illness, সে রকম কিছু বললে সেই সিস্টেম এক্সমিনেশন করে তার ফাইন্ডিংস পাওয়া যাবে। আর এই ধরণের রোগীদের suicidal tendency বেশি, তাই আগে মরার জন্য যদি অল্পস্বল্প কোন চেষ্টা করে (self harm) থাকে তার চিহ্ন পাওয়া যাবে, যেমন ছুড়ি দিয়ে হাত কাঁটা, হাতের উপর ট্যাটু আঁকা A+G (আবুল+গোলাপী)। আবুলকে ছেড়ে গোলাপী এখন ট্রেনে করে ভেগে গেছে কিনা, হতে পারে উল্টোটাও, সেই হিস্ট্রি নিতে হবে। এটিও Depression এর একটি অন্যতম কারণ।

🍂 কোন investigation করা যায় কি?
Depression এর নির্দিষ্ট কোন test নাই। কোন physical illness আছে বলে সন্দেহ হলে সেই অনুযায়ী test করা যায়, যেমন hypothyroidism মনে হলে TFT.

🍂 চিকিৎসা কি হবে?

অন্য কোন physical illness থাকলে তার চিকিৎসা।

উপরে আগেই বলেছি most effective হল Cognitive behaviour therapy (CBT), counseling. পরিবার ও পাশের কাছের মানুষগুলোকেই এটি বেশি করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ছিল 'Depression, let's talk' তাই রোগীর সাথে বেশি বেশি কথা বলতে হবে। তবে এইসব কথা না 'তোর সমস্যার জন্য তুইই দায়ী, তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না হতচ্ছাড়া!'

Be positive, positive attitude, সাপোর্টিভ কথাবার্তা, 'তোকে দিয়েই হবে, তুই আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট, রবার্ট ব্রুস, বিশ্বজয় কেবল তুইই করতে পারবি, ইত্যাদি ইত্যাদি!' বিভিন্ন কাউন্সেলিং সেন্টার আছে, যেখানে গিয়েও কাউন্সেলিং নেয়া যায়।

এর পাশাপাশি ওষুধ, চিকিৎসকের পরামর্শ মত।

বিভিন্ন anti-depressant বাজারে আছে। এদের কাজ ভাল লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করা, আর আমরা জানি আমাদের শরীরে dopamine, serotonin (5-HT), nor adrenaline এর পরিমাণ বাড়লে আমরা হাসিখুশি থাকি। ওষুধের কাজ এসব neurotransmitters এর পরিমাণ বাড়ানো। classes of anti-depressants,

🔴 Tricyclic anti-depressant (TCA):
amitryptyline, dosulepin, imipramine, clomipramine.

এরা Serotonin, noradrenaline বাড়াবে।
খুবই ভাল, বেশ ইফেক্টিভ। শুধু side effects একটু বেশি। ঘুম পায় (sedation), গলা মুখ শুকায় (anti cholinergic effects), বুক ধরফর করে (palpitation, arrhythmia - long QT).

রোগীর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। রোগী যানবাহন চালালে, মেশিন বা আগুনের কাজ করলে, অর্থাৎ ঘুম আসলে যেসব কাজে বিপদ ঘটতে পারে সেসব ক্ষেত্রে না দেয়াই ভাল। আর যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে একটু সাবধানে দিতে করতে হবে, ওই যে বলেছি arrhythmia করে, long QT করে।

🔴 Selective serotonin re-uptake inhibitor (SSRI):
citalopram, escitalopram, fluoxetine, paroxetine, sertraline.

নাম শুনেই বুঝতে পারি এরা serotonin বাড়াবে। TCA এর সাথে তুলনায় SSRI এর সবগুলো side effects ই কম, আবার efficacy ও কম। তাই risk benefit rario চিন্তা করে TCA বা SSRI প্রেসক্রাইব করতে হবে।

🔴 Noradrenaline re-uptake inhibitor:
venalafaxine, duloxetine, mirtazapine

নাম শুনেই বুঝি এরা noradrenaline বাড়াবে। কিন্তু এটা selective Noradrenaline re-uptake inhibitor না যে শুধু noradrenaline এর পরিমাণই বাড়াবে, পাশাপাশি বাড়াতে পারে serotonin এর পরিমাণও যেমন- venalafaxine, duloxetine. অন্যদিকে mirtazapine কে বলা হয় specific serotonergic inhibitor কারণ এটা অনেকগুলো serotonin receptor কে ব্লক করে।

🔴 Monoamine oxidase inhibitor (MAOi):
খুব একটা আজকাল ব্যবহার হয় না।

ওষুধ বলতে এগুলোই। side effects বিবেচনায় কিছু ওষুধ low dose দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে বাড়াতে হয়। এক্ষেত্রে দুটো বিষয় মনে রাখতে হয়,

প্রথমতঃ রোগী ১ মাস ওষুধ খেয়ে ভাল। দিলাম ওষুধ বন্ধ করে! এটা করা যাবে না। ৬ থেকে ১২ মাস ওষুধ খেতে বলা হয় relapse প্রিভেন্ট করতে।

দ্বিতীয়তঃ রোগীর ৬ মাস ওষুধ খাওয়া শেষ। রোগী পুরোপুরি সুস্থ। পরদিন থেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিল! এটাও করা যাবে না। কমাতে হবে আস্তে আস্তে tapering করে কয়েক সপ্তাহ ধরে। অন্যথায় discontinuation symptoms ডেভেলপ করতে পারে।

আশিকের Depression ছিল mild to moderate, তাই তার আর ওষুধ খাওয়া লাগেনি। তার পরিবার আত্মীয় বন্ধুবর সবাই বেশ সাপোর্টিভ ছিল। বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে ঝাপাঝাপি করে সর্দি বাঁধিয়ে এসেছিল! সবার সাপোর্ট ও ভালবাসায় ও ওর সাময়িক সমস্যা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করেছিল। ওষুধ তাদেরই লাগে যাদের Depression এর মাত্রা severe, যারা নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে অসুখ বাধিয়ে ফেলে, ব্যহত করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, যাদের মাথায় ঘোরে আত্মহননের চিন্তা!

হতাশামুক্ত মানব মনগুলো পাখির মত দলবেঁধে আকাশে উড়ুক...🐦🐦🐦🐦

লেখক:Kawsar Uddin 
লিখাটি পাঠিয়েছেন: ঈশিতা রায়

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad