Type Here to Get Search Results !

এই সেপ্টেম্বর মাসেই সশরীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রত্যাশা জানিয়েছেন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী

0

- নিজস্ব প্রতিবেদক 

        

চলতি আগস্ট  মাসে  টিকা দেওয়া ও সংক্রমণের হারের  ওপর বিবেচনা  করে  সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্বান্ত নেওয়া হতে পারে।

বর্তমানে  করোনা ভাইরাসের  সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা স্থগিত করতে হয়েছে বারবার। ফলশ্রুতিতে, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্তশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি  বাড়ানো হয়েছে। তবে চলমান ছুটি শেষ‌ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা এই নিয়েও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে নানা রকম আশঙ্কা  দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, "অধিকাংশ শিক্ষার্থী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিনের আওতায় চলে আসবে। আশা করছি, এরমধ্যে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসবে; তাহলে সেপ্টেম্বরে শারীরিক উপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কিয়দংশ (সামান্য) খুলতে পারবো।"

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন: "টিকার জন্য নিবন্ধন ও যেসব শিক্ষার্থীদের এনআইডি নেই তাদের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়লের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সেখানে বলে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করছি। তবে শিক্ষার্থীরা এনআইডি অথবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকলে বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরও টিকা দেওয়া হবে।"

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, "এ মাসে কী পরিমাণ টিকা দেওয়া যাবে এবং সংক্রমণের হার কত থাকবে, তার ওপর নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন স্তরে কতটুকু পরিমাণ খুলবে, অর্থাৎ খোলার পরিধি কতটুকু হবে।একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাপঞ্জির সঙ্গে সমন্বয় করে খোলার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।"

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।করোনা  মহামারির পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে  সরকার কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনার কথা জানালেও দফায় দফায়  বাড়াতে হয়েছে ছুটি।এদিকে সরকারের শেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ী ও কওমী মাদ্রাসার চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য,সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল ,আবাসিক শিক্ষার্থীদের (প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার) টিকা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া।তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে এখনো অধিকাংশ শিক্ষার্থীই টিকার আওতার বাইরে।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad