শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের চাপ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।তিনি বলেন, "শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের যেন চাপ দেওয়া না হয়। করোনার এই সময়ে অনেকের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।"
পাশাপাশি, বকেয়া ফি আদায়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সাথে নমনীয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
রোববার(১২ সেপ্টেম্বর)শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম শুরু করার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি সকাল ১০টা রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজে এ কথা বলেন।
স্কুলের ফি আদায়ের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, "এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা আগের মতোই। যে ফিগুলো এখনিই আদায় প্রয়োজন সেগুলোই আদায় করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রেও যদি এমন হয় যে করোনায় কোনো শিক্ষার্থীর পরিবারে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ওই সকল অভিভাবকদেরক কিস্তিতে বেতন আদায়ের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ থাকবে। কারণ এটা একটা মানবিক বিষয়। একই সাথে বেতনের টাকাতেই কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। সেদিকেও অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। অন্যান্য খাতে খরচের পাশাপাশি সন্তানের স্কুলের বেতনও সচেতনভাবে পরিশোধ করতে হবে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠান প্রতিটি ফি আদায়ের ক্ষেত্রে যেন অমানবিক না হয় সেবিষয়ে আমি সবার কাছে আবেদন রাখব।"
তিনি আরও বলেন,"মাসিক বেতন তারা নিতে পারবে। সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে কী কী নেওয়া যাবে। যদি কোনও শিক্ষার্থীর পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে গেছে, সেক্ষেত্রে তাদের কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা বা অন্য কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যায়। যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে পড়ছে তাদের ওপর তো প্রতিষ্ঠান অমানবিক হতে পারে না। একইসংগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের বেতনের ওপর নির্ভর করে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রতিষ্ঠান চালায়। কাজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছুটা হলেও আদায় করতে হবে। সবার কাছে আবেদন করবো, মানবিক কারণে একটি যুক্তিসঙ্গত জায়গায় আমরা পৌঁছাই।"
একইসাথে অভিভাবকদের উদ্দেশে দীপু মনি বলেন, "আপনারা অন্যান্য খরচ কমিয়ে আপনার সন্তানদের বেতন আগে পরিশোধ করতে পারেন। বেতনের টাকা কিন্তু খুব বেশি নয়।"