আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে পাশ করে বের হয়ে কেউ সরকারি আবার কেউ বেসরকারি চাকুরি করবো।আজকাল কম-বেশি অনেকেই চাকুরী করছে। কেউ সরকারি আবার কেউ বেসরকারি চাকুরি করছে। আবার এও দেখছি লক্ষ লক্ষ অনার্স - মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলে মেয়ে বেকারে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বেকারে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে তার কি কেউ খোঁজ খবর রাখে? শুধুমাত্র পরিবার ও আত্মীয় -স্বজন ছাড়া। আবার সমাজের মানুষ ও এই খবর চারদিকে বলাবলি করে পড়ালেখার প্রতি নিন্দা জানাচ্ছে। বেকারদের দিন কাল যে কিভাবে কাটে আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যে, এই শিক্ষিত বেকাররা ঘরে বসে কদিন কাটাবে? আর অন্য দিকে, সরকারি ও বেসরকারি একাধিক চাকুরি করছে বহুজনে। তাহার কি কেউ খেয়াল রাখছে? তাও আবার ভালো মাইনে পাচ্ছে। এতে আমার কোন আপত্তি বা অভিযোগ নাই। কিন্তু একটা বেসরকারি চাকুরীজীবী লোক একাধিক চাকরি করতেই পারে স্বাভাবিক। এতে অস্বাভাবিকের তো কিছু নেই। কিন্তু একটা সরকারি চাকুরীজীবী লোক কেমন করে একাধিক সরকারি চাকরি করছে? তাহা চিন্তা করলে আমার প্রচন্ড মাথাব্যাথা করে আর ঘুম ও হয় না। কেননা অন্য দিকে, বেকারত্বের সংখ্যা যে দিন দিন বাড়ছে। বেকার জীবনকে আমি তো অভিশাপ মনে করি। কেননা পরিবার, সমাজ ও আত্মীয় স্বজনের প্রত্যেক মানুষই বেকার মানুষকে ঘৃণার চোখে দেখে। আচ্ছা আপনি বলুন তো, একটা যুবক বয়সের ছেলেমেয়ে যদি বেকার থাকে তা কেমন দেখায়? সারাদিন ঘরের কোণে বসে থেকে মা-বাবার কষ্টের টাকা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খাবে এটাতো নিশ্চয়ই সকলের চোখে ঘৃণা দেখাবেই স্বাভাবিক। আর সরকারি চাকুরীজীবীরা তো এমনিতেই মোটামুটি ভালো মাইনে পায়। আবার, কেউ কেউ ঘুষ ও খায় তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমরা জানি, মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদাগুলো হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এই ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তাদের সকল মৌলিক চাহিদা গুলো পূরণের সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের মাইনের পাশাপাশি মৌলিক চাহিদা গুলো পূরণ করে দেয় কিন্তু যারা বেকার ঘরে বসে আছে তাদের মৌলিক চাহিদা গুলো কে পূরণ করে দিবে? মাইনে তো বাদই দিলাম? বেকারদের কি ঘর বাড়ি নেই। নাকি ওরা রোহিঙ্গা! আমি সরকারি দলকে বলতে চাই না যে, বেকারদের না খাটিয়ে বেতন আর মৌলিক চাহিদা পূরণ করে দেন। আমি বলছি, একজন একজন সরকারি কর্মকর্তা একাধিক সরকারি চাকরির বদলে ঐ শূন্য পদ যোগ্য সম্পন্ন বেকারদের মধ্য হতে নির্বাচিত হোক। যাতে করে বেকার শব্দটি আর কাউকে না শুনতে হয়। তার মানে একজন সরকারি কর্মকর্তা একাধিক সরকারি চাকরি করতে পারবে না। অন্যথায় বেকার দিন দিন বেড়ে যাবে। আর, এও মাথায় রাখতে হবে, যোগ্যপ্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ঘুষের সাথে লেনদেন করা যাবে না। আমারই ভাষায়, আর নয় বেকার,চাই শুধু একটি চাকরির অফার।বেকারকে না বলুন। নতুবা যে কোন উপায়ে হোক উদ্যোক্তা হয়ে জীবন গড়ুন। ইহাই হবে প্রত্যেক মানুষের উত্তম পন্থা।
লেখাটি পাঠিয়েছেন:পারভেজ আহামেদ