(১)ধর্মের প্রতি মশগুল হোন:অলসতা ত্যাগ করার প্রথম উপায় হচ্ছে আপনি যে ধর্মের অনুসারী হোন না কেন আপনাকে অবশ্যই ধর্মের প্রতি মশগুল হতে হবে। নিয়মিত প্রার্থনা করলে আপনি অবশ্যই অলসতাকে শীঘ্রই দুর করতে পারবেন আর বিনিময়ে তখন ঐ অলসতা কাটিয়ে আপনি কর্মক্ষম হয়ে উঠতে পারবেন। আমরা এও জানি যে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাইতো আমরা যদি নিজ নিজ ধর্মের প্রতি মশগুল না হই তাহলে তো শয়তান আমাদের অলস বানাবেই। প্রার্থনা না করলে তো সৃষ্টিকর্তার দয়া ও পাবো না আমরা কেউ।
(২)লক্ষ্য স্থির করুন:অলসতা থেকে রক্ষা পেতে আপনাকে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে হবে।ভবিষ্যৎ জীবনে আপনি কি করতে চান? আপনি কি হতে চান? ভবিষ্যতে আপনি কোথায় থাকতে চান? শীঘ্রই তা আপনাকে স্থির করতে হবে এবং লক্ষ্য অনুযায়ী আপনি সামনে এগোতে থাকবেন।তখনই দেখতে পাবেন যে অলসতা আপনার কাছ থেকে এমনিতেই পালিয়ে যাবে।
(৩)লক্ষ্য অনুযায়ী অগ্রসর হতে হবে:আপনার অলসতা থেকে বাঁচার অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে লক্ষ্য অনুযায়ী সামনে অগ্রসর হওয়া। মানে আপনি ভবিষ্যৎ জীবনে যেটা হতে চান খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি ওই পথ অনুযায়ী দৌড়াচ্ছেন কিনা। তা যদি না হয় তাহলে তো আপনার মধ্যে অবশ্যই অলসতা কাজ করবে। আপনি অলস জীবন পার করে তো কখনও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না। তাই লক্ষ্য অনুযায়ী অগ্রসর হওয়ার জন্য আপনার অলস জীবন ত্যাগ করতে হবে, একের পর এক ধাপ শেষ করে আপনাকে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে অগ্রসর হতে হবে
(৪)অনুপ্রেরণা গ্রহণ:অলসতা হতে বেঁচে থাকার অন্যতম একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে অনুপ্রেরণা গ্রহণ।আমরা জানি একটা মানুষ একই কাজ সবসময়ে করতে পছন্দ করেন না। আপনি যাই হতে চান না কেন তার ঐ জন্য আপনাকে অবশ্যই অলসতা দূর করতে হবে। কিন্তু যখনই দেখবেন আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে কাজ করতে শুরু করেছেন তখনই দেখবেন কিছু কিছু সময় আপনার কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করবে না। তখন আপনি ওই সময়টাতে অনুপ্রেরণামূলক যে কোন বই পড়তে পারেন যেটা আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে আপনাকে অনেক বেশি উৎসাহ জোগাবে। পাশাপাশি অলস জীবন হতে আপনাকে কর্মক্ষম জীবনে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকাংশেই সাহায্য করবে।
(৫)সময়ের কাজ সময়ে করুন:অলসতা থেকে মুক্ত হবার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে সময়ের কাজ সময়ে করা। যা পালন করতে পারলে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে একদমই সহজ হবে। সময়ের কাজ সময়ে করা মানে আপনি যেই কাজটিই করুন না কেন তা আপনাকে নির্দিষ্ট সময় ধরে করলে একদিকে কাজটাও সম্পন্ন হবে পাশাপাশি অন্যদিকে আপনার অলসতাটাও কেটে যাবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারলে আপনার মানসিক চাপ কম থাকবে পাশাপাশি তখন আপনার নিজের মধ্যে প্রেরণার সৃষ্টি হবে।
উপরের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করলে দেখবেন যে অলসতা এমনিতেই আপনার থেকে দূর হয়ে যাবে এবং আপনিও কর্মক্ষম হয়ে উঠবেন।
লেখক:পারভেজ আহামেদ