নির্দেশনাগুলো হলো:
- মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ও আশেপাশের খোলা জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- শিক্ষা অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন, খোলা জায়গা, মাঠ, ফুলের টব, পানির পাম্প বা পানি জমে এমন পাত্র, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার ট্রে, পানির ট্যাপের আশেপাশের জায়গা, বাথরুম, বাথরুমের কমোড, গ্যারেজ, নির্মাণাধীন ভবন, লিফট, সিঁড়ি, পরিত্যাক্ত বস্তু যেসবে এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল হতে পারে বা দুই দিনের বেশি পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
- শিক্ষকদের অনলাইন ও ভার্চুয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা ও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ জানাতে হবে।
- শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে স্থানীয় প্রশাসন. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও স্থানীয় সরকার উক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।
এছাড়াও প্রাথমিকের জন্য দেওয়া হলো সাতদফা নির্দেশনা:
"১) অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভবনা থাকে, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে একদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে, যেমন- প্রতিষ্ঠানের ছাদ, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব, বাগান, নালা, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, নারিকেল মালা, টায়ার ইত্যাদি।
২) অব্যবহৃত পানির পাত্র, ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি জমতে না পারে।
৩) হাইকমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে। লোকমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্যকিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
৪) কোনও জায়গায় জমা পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে, অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
৫) দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
৬) ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সঙ্গে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৭) ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।"
এছাড়াও বলা হয়েছে , শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা উক্ত আদেশটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের পাঠিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব নির্দেশনার বিষয়ে অবগত করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, এ বছর(২০২১) করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই দেশে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। আর ইদানিং কালে প্রায় প্রতিদিনই ঢাকায় অন্তত ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
জুলাইয়ে দুই হাজার ২৮৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭২। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতাল সুনির্দিষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
২০১৯ সালে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তারে আক্রান্ত হয় ১ লাখের বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে মারা যায় ১৭৯ জন। গত বছর সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা কম থাকলেও এ বছর পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়:-" ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায় মশার মাধ্যমে। আর অন্য মশার সঙ্গে ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী এডিস মশার পার্থক্য আছে। মূলত এই মশাগুলোর জন্ম হয় আবদ্ধ পরিবেশে। ফলে নাগরিকরা সচেতন না হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা কঠিন।"