Type Here to Get Search Results !

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক আজ দুপুরে

0
- নিজস্ব প্রতিবেদক 

করোনা পরিস্থিতি ক্রমে উন্নতির দিকে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ (বৃহস্পতিবার)(২৬ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথ বৈঠকে বসবে।

উক্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা- এ দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং তিন সচিব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উক্ত বৈঠকে।

পাশাপাশি এ ছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব এবং আইজিকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

অতিরিক্ত আইজি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ), ইউজিসি প্রতিনিধি ছাড়াও পাঁচ মহাপরিচালক এবং তিন পদস্থ কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন,"দ্রুত সময়’র মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা আমরা বলেছিলাম। এ কারণে এখনকার পরিস্থিতি ‘রিভিউ’ (পর্যালোচনা) করা প্রয়োজন। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে।"

সূত্রে জানা গেছে, 'সংক্রমণের হার ৭-৮ শতাংশ থাকলেও খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে যে কোনো সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে ক্লাস চলবে, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।'

শুরুতে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহের ছয় দিন ক্লাস করবে। অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন হতে পারে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের বৈঠকে খোলার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এ ব্যাপারে রূপরেখা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এছাড়াও সপ্তাহের ছয় দিন ক্লাস করবে। অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন হতে পারে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের বৈঠকে খোলার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এ ব্যাপারে রূপরেখা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর গত ১৭ মাসে মোট ২২ দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ মে ও ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad