দেশে আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর সরকারি কলেজে বিডিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পাশাপশি, পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হলেও সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, "যেহেতু পরীক্ষার্থীরা সবাই অ্যাডাল্ট তাই আমরা অভিভাবকদের আসতে নিষেধ করেছিলাম, তারপর তারা এসেছেন।"
স্কুল খোলার পর যুক্তরাষ্ট্রের করোনার সংক্রমণ বেড়েছে আমাদের এখানেও সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "আমেরিকা আর আমাদের দেশ এক নয়। করোনা সংক্রমণ হলে অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করবে আমরাও সেই ধরনের পরামর্শ দেবো।"
এছাড়াও,স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে ও ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে অনুমতি আসেনি। ডব্লিউএইচও অনুমতি দিলে শিশুদের টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিশুদের করোনা আক্রান্তের হার কম।"
তিনি আরও বলেন, "এ মাসে দুই কোটি টিকা পাওয়া যাবে। গণটিকা কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে আগামী তিন মাসে। কোভ্যাক্স থেকে ১০ কোটি টিকা কেনা হবে।"
এছাড়াও,যেখানে যেখানে সম্ভব সেখানে ফাইজার টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। অনেক দেশে নিজস্ব উদ্যোগে নিজেদের আইন অনুযায়ী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। অনুমোদন পেলে এবং টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত হলে আমরা এ ধরনের কার্যক্রম হাতে নেব।"
উল্লেখ্য,শুক্রবার বেলা দশটায় ঢাকার তিনটি কেন্দ্রে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। সারাদেশের আটটি কেন্দ্রের অধীনে ২২টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়।
দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে ৫৪৫টি আসন এবং বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৪০৫টি আসনে এবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।