করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সময়ের ব্যবধান এক মাস থেকে কমিয়ে আনা যায় কিনা, তা বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বিতীয় ডোজের সময় ১ মাস থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা জানিয়েছেন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দ্বিতীয় সময়টা একটু কমিয়ে দেওয়া যায় কিনা। এখন আমরা এক মাস দিচ্ছি। এক মাসের পরিবর্তে ১৫ বা ২০ দিন করে দিতে পারি কিনা, এটা বলেছেন। যদি সম্ভব হয় আমরা সেটাও করবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরোও বলেন, "অন্যান্য দেশে ১৫ দিনের মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। সেই দেশের রেফারেন্স টেনে বলা হয়েছে। এখন ডাব্লিউএইচওর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব এ বিষয়ে।"
জাহিদ মালেক আরও বলেন, "বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'শ্রমিকদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। আমরা তো দিচ্ছি। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার ডাক্তার-নার্স ও তাদের পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও তাদের পরিবারের সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী ও তাদের পরিবার, ছাত্রদের এবং বিদেশে যারা চাকরির জন্য যাচ্ছে তাদেরকেও দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকদেরকেও দেওয়া হয়েছে।'"
এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "কিছু কিছু গার্মেন্টস মালিকরা চাচ্ছে সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে যেন দেওয়া হয়। আমরা বলেছি ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ ভ্যাকসিন পাক এবং সুরক্ষিত থাকুক।"