দুপুরের ঠিক আগ মুহূর্তে,
কড়কড়ে রোদ, ব্যস্ত জনপদ,
কিছুদিন আগেও ভোরের প্রথম আলো ফোঁটার আগেই শুনতে হতো রড পেটানোর শব্দ।
প্রবাহমান যান্ত্রিক জীবন-যাপন, সূর্য মাথায় করে কেউ বা
হাঁকছে, কেউ বা চলছে...
কিন্তু হঠাৎ, হঠাৎ সব কেমন যেনো চুপ!
কেউ হাটছে না, কেউ হাসছে না।
ফেরিওয়ালা এখন এই হাড়ি পাতিল, এই হাড়ি পাতিল বলে সোর তুলছে না...
ওভারটেকের জন্য গাড়িতে স্ক্র্যাচ পরায় হাতাহাতি হচ্ছে না।
রিকশা ওয়ালাকে পাঁচটাকা বেশি দিতে হবে বলে দুই-চার ঘা বসাচ্ছে না কেউ!
এই প্রথম নববর্ষে দেখতে হবে না পার্কের কোণে অশালীন দৃশ্যপট।
গলির মাথায় রকিকে এখন আর বিড়ি টানতে টানতে
জুয়া খেলতে দেখা যাচ্ছে না...
কোনো মেয়ের দিকে সে পশুর নজরে তাকাবার সুযোগ পাচ্ছে কই?
গতকাল তাকে দেখলাম মসজিদের সামনে টুপি মাথায়
ত্রাণকর্মীদের সাথে গরীবদের ত্রাণ দিচ্ছে...
নগরের আজ এই স্বচ্ছ পরিষ্কার রূপ ঠিক যেনো পরিবেশ পরিচিতি বইয়ের ৬৮ পৃষ্ঠার মতো!
কালো ধোয়া নেই, কোনো যানজট নেই, জনসমাগম নেই।
কৃষ্ণচূড়া এই বছর শান্তিতেই ফুটেছে মনে হয়!
গাছগুলো কত্ত কত্ত সবুজ!
পাখিদের মত কিচির মিচির আগে শোনেনি কেউ কোনোদিন।
প্রকৃতির এই অবাক লীলাখেলা সব কেমন বদলে দিয়েছে..
আচ্ছা ঘর বন্দি এই একঘেয়ে জীবন প্রকৃতির জন্য অভিশাপ নাকি আশীর্বাদ?
-মেহেরীন মান্নান মজুমদার