ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ডোপ টেস্টের এই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
উক্ত সভায় তিনি বলেন, "আজকে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আমরা প্রবেশ করব। আমরা এটা শুরু করব তবে শুরু করার আগে আমাদের প্রস্তুতি প্রয়োজন রয়েছে। সে প্রস্তুতির জন্য আমাদের চিকিৎসা অনুষদের ডিনকে আহ্বায়ক করে একটা কমিটি করা হয়েছে। সে কমিটি কবে থেকে শুরু করবে, কিভাবে শুরু করবে তার একটা নীতিমালা প্রণয়ন করবে।"
এছাড়াও সভায় একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন গবেষককে পিএইচডি এবং ১৩ জন গবেষককে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ টিটো মিঞা বলেন, "এ ব্যবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রতিবছর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা হবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বর্ষের শিক্ষার্থীদের একবার ডোপ টেস্ট করানো যেতে পারে। তবে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে সক্ষমতা অনুযায়ী। ডোপ টেস্ট করার জন্য এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা নেই। এর জন্য যন্ত্রপাতি ও লোকবল প্রয়োজন হবে। ডোপ টেস্ট কি বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হবে, নাকি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে করা হবে, কীভাবে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা যায়, এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।"
অধ্যাপক টিটু মিয়া আরো বলেন, "প্রাথমিকভাবে অ্যাডমিশনের শুরুতে এবং পর্যায়ক্রমে বছরে একবার শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করানো যেতে পারে৷ সক্ষমতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় সেই সিদ্ধান্ত নেবে৷''
এছাড়াও,মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করতে সকল পর্যায়ে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করার তাগিদ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি৷
উল্লেখ্য,গত রোববার জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বছরে একবার ডোপ টেস্টের পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও ডোপ টেস্টের তাগিদ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি,সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক নাফিজ জামান শুভকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।